থানায় দায়ের করা অভিযোগ পত্রের নমুনা (Sample of the complaint to the police station)
০৩-সেপ্টেম্বর-২০২১ ইং
বরাবর,
অফিসার ইনচার্জ
কোতয়ালী থানা, রংপুর
বিষয়ঃ অভিযোগ প্রসঙ্গে ।
জনাব, আমি মোঃ লাল মিয়া, পিতা- মৃত মোঃ আব্দুল আজিজ, সাং- গোকুলপুর , ডাকঘর- হরিদেবপুর, থানা- কোতয়ালী, জেলা- রংপুর, থানায় উপস্থিত হইয়া এই মর্মে অভিযোগ করিতেছি যে। আসামী ১। মোঃ করিম মিয়া (৩৫) ২। মোঃ রহিম মিয়া (৪০) ৩। মোঃ সত্তার মিয়া (৪৫) ৪। মোঃ রহমান মিয়া (৩০) সর্ব পিতা- মোঃ আজাদ মিয়া ৫। মোঃ আজাদ মিয়া (৭০), পিতা-মৃত মোঃ আলিফ উদ্দীন ৬।মোঃ সুমনা বেগম (৪০), স্বামী- মোঃ সত্তার মিয়া ৭। মোছাঃ হামিদা বেগম, স্বামী- মোঃ আজাদ মিয়া ৮।মোছাঃ মৌসুমি বেগম (৩৫), স্বামী- মোঃ রহিম মিয়া ৯। মোছাঃ প্রিয়া বেগম (২৭), স্বামী- মোঃ রহমান মিয়া ১০। মোছাঃ শেফালী বেগম (৩০), স্বামী- মোঃ করিম মিয়া ১১। মোঃ শফিক মিয়া (২০), পিতা- মোঃ সত্তার মিয়া সর্ব সাং- গোকুলপুর , ডাকঘর- হরিদেবপুর, থানা- কোতয়ালী, জেলা- রংপুর ১২। মোছাঃ অহনা বেগম (৩৫), স্বামী- মোঃ রিয়াজ মিয়া, সাং- মহাদেবপুর, থানা- কোতয়ালী জেলা-রংপুর গণ পাল্লা ভুক্ত ও খারাপ প্রকৃতির লোক। ১২ নং আসামী মোছাঃ অহনা বেগম ৭ নং আসামী মোছাঃ হামিদা বেগমের কণ্যা হইতেছে; এবং ঘটনার দিন ০২/০৯/২১ ইং বিকেল ৪ ঘটিকার সময় অহনা বেগম তার মায়ের বাড়িতে (গোকুলপুর) ছিলেন। আসামী পক্ষের সহিত আমার চাচাত ভাই মোঃ আলমের এর জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। ঘটনার দিন ও সময় আসামীরা বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া আলম এর বাড়িতে অন্যায়ভাবে প্রবেশ করিয়া সীমানা-প্রাচীর ও টাটী বেড়া ভাঙচুর করে ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করেন। হট্টগোল শুনিয়া আমি, আমার স্ত্রী মোছাঃ লতা বেগম ও আমার কন্যা মোছাঃ নুসরাত আক্তার আলমের এর বাড়ীতে গিয়ে আমি ঘটনা থামানোর চেস্টা করিলে ১ নং আসামী করিম মিয়া দুই হাত দিয়া আমার গলা টিপে ধরে শ্বাস রুদ্ধ করে হত্যার চেস্টা করিতে থাকে। আমার স্ত্রী ও কন্যা গিয়ে করিম মিয়ার হাত হইতে আমার জীবন রক্ষা করেন।২ নং আসামী রহিম মিয়া লাঠি দিয়ে আমার ডান পায়ে আঘাত করে গুরুতর যখম করেন এবং ১২ নং আসামী মোছাঃ অহনা বেগম আমার মুখে ঘুষি মারিলে ঠোট ফাটাইয়া রক্তাত ও জখম হয়। এছাড়াও ৩ নং আসামী মোঃ সত্তার মিয়া লাঠি দিয়া এলোপাতারি ভাবে মারপিট করে আমার ডান ও বাম হাতের কনুই পার্শ্বে জখম করে। ৬ থেকে ৮ নং আসামীরা আমার স্ত্রীকে ও ৯-১০ নং আসামী আমার কন্যাকে ধাক্কা ধাক্কি করে এবং ১১ নং আসামী শফিক মিয়া আমার সদ্য অপারেশন করা কন্যা মোছাঃ নুসরাত আক্তারের জামা টানা হেচড়া করে ও কিল ঘুষি মারে । ইহাতে আমার কণ্যার পরনে থাকা জামা ছিড়িয়া শ্লীলতাহানী ও বেপর্দা হয়। ৯৯৯ ইমারজেন্সী হেল্প ডেস্ক এ পুলিশকে ঘটনা জানাইলে পুলিশ কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থানে আসিলে আসামীরা নানা রকমের হুমকি দিয়া চলিয়া যায়।আমি তৎক্ষণাৎ গুরুতর অসুস্থ হইয়া পরিলে ০২/০৯/২১ ইং বিকেল ৫ ঘটিকার দিকে লোকজন আমাকে রংপুর মেডিকেল ও কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা কালে করোনা ভাইরাসের কারণে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে বাড়িতে থাকিয়া সু-চিকিৎসার পরামর্শ দেন। এমতাবস্থায়, আমি হাসপাতাল হইতে বাড়ীতে আসিয়া চিকিৎসা গ্রহণ করিতেছি। উক্ত ঘটনা সাক্ষী ১। মোঃ হাসান ইসলাম, পিতা-মৃত মোঃ তারিক আলী ২। মোঃ আমজাদ হোসেন, পিতা-মৃত মোঃ হামিদ আলী ৩। ৪। ৫। সর্ব সাং- গোকুলপুর ডাকঘর- হরিদেবপুর, থানা- কোতয়ালী, জেলা- রংপুর সহ আরো অনেকেই জানেন। অত্র উক্ত ঘটনার ও রোগীর স্থির চিত্র সহ অন্যান্য কাগজ পত্র সংযুক্ত করে দেওয়া হইলো।
অতএব,
আকুল প্রার্থনা এই যে, উপরোক্ত ঘটনা সরেজমিনে
তদন্ত করত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণে যেন জনাবের মর্জি হয়।
নিবেদক
মোঃ লাল মিয়া
সাক্ষর
(০১৩ককককককক)
Acknowledgment
All publications on this website are only for educational purposes. So if there is any unintentional mistake, please forgive me and let me know so that I can correct it. I always respect and obey the law of Bangladesh.
Post a Comment