Village court & Its importance | গ্রাম আদালত ও এর গুরুত্ব
Village Court is the lowest level of justice system in Bangladesh. The village court is the court formed under the union parishad for the disposal of small civil and criminal cases in the rural areas. Simply, according to village courts act 2006, the village court is that sits in the union parishad to Seattle civil and criminal cases worth of 75000 BDT.Village court create opportunities for the underprivileged people in rural areas to get justice. No lawyer is required to file a case in the village court, so there is no chance for the case to be protracted. The court sat in the presence of Local Up members and notable judges. The number of judges in that court must be 5, two nominated members will be on behalf of the petitioner and two members will be on behalf of the respondent. As the trial was held in the presence of local up members and dignitaries, there is no scope for perjury.
গ্রাম আদালত হলো গ্রামাঞ্চলের ছোট ছোট দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় যে আদালত গঠিত হয় সে আদালত হলো গ্রাম আদালত। সহজ কথায় গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদে ৭৫০০০ টাকার নিম্ন মূল্যমানের দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদে যে আদালত বসে সে আদালতেই হলো গ্রাম আদালত। গ্রাম আদালত গ্রামাঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত অনুগ্রসর জনগোষ্ঠীর সুবিচার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। এখতিয়ার সম্পূর্ন এলাকার জনগণ ফৌজদারী হলে ১০ টাকা এবং দেওয়ানী হলে ২০ টাকা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে এই মামলা দায়ের করতে পারে। গ্রাম আদালতের এখতিয়ার সম্পূর্ন মামলা অন্য কোন আদালত গ্রহন করতে পারে না। গ্রাম আদালতে মামলা করলে কোন আইনজীবির প্রয়োজন হয় না। যার কারনে মামলা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কোন সুযোগ নেই। স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং গন্যমান্য বিচারকের উপস্থিতিতে এই আদালত বসে। যে আদালতে বিচারক সংখ্যা হলো ০৫জন। দুই জন মনোনীত সদস্য থাকবেন আবেদনকারীর পক্ষে এবং ০২ জন সদস্য হবেন প্রতিবাদীর পক্ষে। যার মধ্যে একজনকে অবশ্যই হতে হবে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য। স্থানীয় ইউপি সদস্য এবং গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এই বিচার অনুষ্ঠিত হয় বলে এখানে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার কোন সুযোগ থাকে না।
Village courts have been set up to ensure and to facilitate the access of the poor to the judiciary. Basically, it has been set up so that the poor people of the village can easily protect and establish their rights at nominal cost. In this court, small disputes of the village can be settled easily before they become big. To strengthen the foundation of justice in rural areas, the Bangladesh government established village court through an ordinance in 2006 which is known as the village court act of 2006.This union-level court has brought dynamism to the entire judiciary by reducing the pressure of cases in the district court. However, due to the conduct of the village court by the common people and their elected representatives or due to the misconduct of the people’s representatives, this court often fails to protect its image. But from a legal point of view the village court is a full court.
বিচার ব্যবস্থায় দেশের দরিদ্র মানুষের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত ও সহজ করতেইগঠন করা হয়েছে গ্রাম আদালত। গ্রামের দরিদ্র মানুষ যাতে সহজে ও নামমাত্রখরচে তাদের এই অধিকার রক্ষা বা প্রতিষ্ঠা করতে পারে, সেজন্যেই গ্রাম আদালতপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ আদালতে গ্রামের ছোটখাটো বিরোধ বড় আকার ধারণ করারআগেই সহজে নিষ্পত্তি করা সম্ভব । গ্রামীন জনপদে ন্যায়বিচারের ভিত শক্তিশালীকরতে ২০০৬ সালে এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে গ্রাম আদালত প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশসরকার । ইউনিয়ন পর্যায়ের এই আদালত জজ আদালতে মামলার চাপ কমিয়ে গোটা বিচারব্যবস্থায় গতিশীলতা এনেছে । তবে সাধারণ মানুষ ও তাদেরই নির্বাচিত প্রতিনিধিদ্বারা গ্রাম আদালত পরিচালিত হওয়ায় বা জনপ্রতিনিধিদের আচরণগতত্রুটিরকারণে এই আদালত অনেক সময়ভাবমূর্তি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয় । কিন্তু আইনগতদিক থেকে গ্রাম আদালত একটি পূর্ণাঙ্গ আদালত।
An organization called panchayat has been prevalent in this country since ancient times. One of its main responsibilities was to administer local justice and resolve disputes. Although the British did not initially delegate this responsibility to the local bodies, in the early part of the twentieth century, the Bengal rural autonomy act of 1919, empowered the union board to adjudicate both civil and criminal cases. A large part of our total population lives in villages. A large section of this population is poor, illiterate, and unaware of the modern justice system. Most importantly, it is very difficult and expensive for these poor people to go to the city and sue for a long time. So, at the village level, if there is a system for resolving disputes, they are saved from a lot of hassle and expense. Speedy justice of village court greatly reduces the intensity and helps maintain a peaceful environment in rural society. At present the lowest level of justice in Bangladesh is the village court. Disposal of some cases in rural areas and the court was constituted under the village courts ordinance, 1976 to facilitate the adjudication of related matters and is a conciliatory court. The purpose of the village court is to find a peaceful solution by verifying the truth of the real incident by the chairman and members of the union council as they are respected persons and people’s representatives of the area. Later, the village court act, 2006 was enacted. The village court is being governed by the present village court act, 2006.This law has 21 sections and 1 schedule and Two parts of the schedule (first part and second part).
প্রাচীনকাল থেকেই এদেশে পঞ্চায়েত নামে যে সংস্থা প্রচলিত ছিল।তার অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ছিল স্থানীয় বিচার কার্য সম্পাদন ও ঝগড়া-বিবাদের মীমাংসা করা। বৃটিশরা যদিও প্রথমে এ দায়িত্ব স্থানীয় সংস্থার উপর অর্পন করেনি কিন্তু বিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগেই ১৯১৯ সালে বঙ্গীয় পল্লী স্বায়ওশাসন আইনের মাধ্যামে ইউনিয়ন র্বোডকে দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় প্রকার মামলার বিচার করার ক্ষমতা দেওয়া হয় ।
আমাদের মোট জনসংখ্যার একটা বিশাল অংশ গ্রামে বাস করে। এ জনগোষ্ঠীর একটি ব্যাপক অংশ দরিদ্র, নিরক্ষর এবং তারা আধুনিক বিচার ব্যবস্থা সর্ম্পকে ওয়াকিবহাল নয়। সবচেয়ে বড় কথা, এ দরিদ্র জনসাধারনের পক্ষে শহরে গিয়ে দীর্ঘদিন মামলা-মোকদ্দমা চালানো অত্যান্ত কঠিন এবং ব্যয়বহুল ব্যাপার ।
সুতরাং গ্রাম পর্যায়ে যদি ঝগড়া-বিবাদের মীমাংসা বা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা থাকে, তাহলে তারা অনেক বিড়ম্বনা ও খরচের হাত থেকে রক্ষা পায় । দ্রুত বিচার কার্যের ফলে ঝগড়া বিবাদের তীব্রতা ও ব্যাপকতা বহুলাংশে কমে যায় এবং গ্রামীন সমাজে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সাহায্য করে ।
বর্তমানে বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থার সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছে গ্রাম আদালত । গ্রামাঞ্চলের কিছু কিছু মামলার নিষ্পত্তি এবং
তৎসর্ম্পকীয় বিষয়াবলীর বিচার সহজলভ্য করার উদ্দেশো গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ এর আওয়তায় এ আদালত গঠিত হয় এবং এটি একটি মীমাংসামুলক আদালত । ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা যেহেতু এলাকার সম্মানিত ব্যক্তি এবং জনপ্রতিনিধি সেহেতু তাদের দ্বারা আসল ঘটনার সত্যতা যাচাই করে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করাই গ্রাম আদালতের উদ্দেশ্য । পরবর্তীতে ‘’গ্রাম আদালত আইন , ২০০৬’’ প্রণীত হয় ।
বর্তমান গ্রাম আদালত আইন , ২০০৬ দ্বারা গ্রাম আদালত পরিচালিত হচ্ছে । এ আইন ২১টি ধারা এবং ১টি তফসিল রয়েছে । তফসিলের দুটি অংশ ( প্রথম অংশ এবং দ্বিতীয় অংশ ) ।
বি দ্রঃ ভূল ক্রটি ক্ষমা পূর্বক দৃষ্টিতে দেখবেন, কোন ভূল/ক্রটি প্রতীয়মান হলে জানাবেন।
যোগাযোগঃ +৮৮-০৯৬১১০৪৮০৯৭ ইমেইলঃ mahadimjl@gmail.com
Post a Comment